{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

রাজশাহীতে খালেদা-তারেককে ‘খুনি’ বলা সাংবাদিকরা এখনো গণমাধ্যমে বহাল

প্রকাশঃ
অ+ অ-


রাজশাহীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘খুনি’ বলা আওয়ামীলীগের দোসর সাংবাদিকরা এখনো গণমাধ্যমে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। মামলা দায়ের হলেও জামিন ছাড়াই প্রকাশ্যে ঘুরছেন তারা। উল্টো ভোল পাল্টে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা’ ধারণকারীও বনে গেছেন কেউ কেউ।

 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের পর ২৭ আগস্ট রাজশাহীর ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বজলুল হক মন্টু বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের হওয়া ওই মামলায় আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় আসামিরা হলেন- দৈনিক কালের কণ্ঠের রফিকুল ইসলাম, জিটিভির রাশেদ রিপন, দৈনিক করতোয়া পত্রিকার রোজিনা সুলতানা রোজি ও দৈনিক উপচারের আসগর আলী সাগর।
 
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ‘২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে সংবাদ কাভারের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত মিডিয়া কার্ড ইস্যু করা হয়। সে সময় অনেক সাংবাদিক সে কার্ড স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন । কিন্তু রফিকুল, রাশেদ রিপন, রোজি ও সাগরসহ কয়েকজন সাংবাদিক কার্ড গ্রহণ না করে মহাসমাবেশের আগের দিন ২ ডিসেম্বর বজলুল হক মন্টুর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মন্টু চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আসামিরা হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আসামিরা বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর, অপমানজনক ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে খুনি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মানহানিকর মন্তব্য করে নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করে। মানহানিকর ওই সংবাদটি মহাসমাবেশের দিন অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে প্রচারিত হয়।

 
এসব ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা চরম ক্ষুব্ধ। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ও সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে যোগ্য ও বঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু বলেন, দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু রাজশাহীতে গণমাধ্যম স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি। সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছে, ওই কমিশনের প্রধান রাজশাহীতেও এসেছিলেন।
 তিনি আরো বলেন, চিহ্নিত আওয়ামী লীগের দালাল সাংবাদিকদের অপসারণ করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
 
এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও দায়ের হওয়া মামলাটির বাদি বজলুল হক মন্টু বলেন, হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। তারা সাংবাদিকতার নামে খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করত। তারা এখনো কিভাবে ওই পত্রিকা ও টিভিগুলোতে বহাল থাকে আমার প্রশ্ন। তাদেরকে এখনো গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? বোয়ালিয়া থানা পুলিশ স্বৈরাচারের দোসরদের ধরছে না, আমি নিজেই হতাশ। আমার করা মামলার একটা আসামিও এরেস্ট হয়নি। বিএনপি নেতা মন্টু আরো বলেন, আমাকে মেরে ফেলছিল, আইসিইউতে ছিলাম। কিন্তু আসামিরা কেউ এরেস্ট হয়নি। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার ও হলুদ সাংবাদিকদের চাকরি থেকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। 

এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, জামিনের বিষয় আমার জানা নেই। কাগজপত্র দেখতে হবে। 
আর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসতাক হোসেন বলেন, আইনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুত্র : খবর ২৪ ঘন্টা

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন