রাজশাহী ৬ আসনে বিএনপির টিকিট চাইবে হাফ ডজন নেতা | Rashtrobarta
রাজশাহীর ৬ আসনে বিএনপির নমিনেশন কারা চাইবে?
প্রকাশঃ
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বাক্ষাতের পর বদলে গেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ইতিমধ্যেই বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া।
নির্বাচনী হাওয়া থেমে নেই রাজশাহীতে, ইতিমধ্যে হাটে মাঠে মানুষের মধ্যে গুঞ্জন রাজশাহীর কোন আসনে কে প্রার্থী হবেন?
রাজশাহীর পদ্মাপাড় ঘেঁষা আসনটি রাজশাহী-৬ পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভোটযুদ্ধের ময়দান এটিকে বলায় যায়। এখানেও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে জোর প্রতিযোগিতা। যা এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ক্রমেই উত্তপ্ত করছে।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছয়জন। তারা হলেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান মানিক এবং রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল। তাদের মধ্যে কয়েকজন আগেও মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এবার সবাই ভোটের মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজশাহীর রাজনীতি ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিএনপি শিবিরে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এই প্রতিযোগিতা আগামী দিনে দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণেও বড় প্রভাব ফেলবে। তবে কে পাবেন নমিনেশন- তা নির্ধারণে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়েই যেতে হবে দলীয় হাইকমান্ডকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আসনটিতে বিএনপির আলোচিত সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন আবু সাঈদ চাঁদ। সারা দেশে বিএনপির যেসব নেতাকর্মীরা বিগত সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ তাদের অন্যতম। হামলা-মামলায় চাঁদ ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। রাজশাহীতে এক জনসভায় "শেখ হাসিনা কে কবর স্থানে পাঠাতে হবে" বলে তিনি এখন দেশের পরিচিত মুখ বনে গেছেন।
দেশের ১২ জেলায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, মানহানি ও সন্ত্রাস দমন আইনে ৮৫টি মামলা হয়। এসব মামলায় তাকে দিনের পর দিন জেল খাটতে হয়েছে।
আবু সাঈদ চাঁদ ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই দফায় ৯ বছর চারঘাট উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি চারঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
অন্যদিকে, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় বিএনপির আরও পাঁচ নেতা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকায় সক্রিয় হচ্ছেন। তাদের অন্যতম জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন। ছিলেন রাজশাহী সিটি কলেজের জিএস ছিলেন।
রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বজলুর রহমানও এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। তিনি আগামী নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানিয়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালে বজলুর রহমান এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং অপেক্ষমাণ তালিকায় ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্তে আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।
রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল চারঘাট-বাঘা এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। উজ্জ্বল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়কও ছিলেন।
এ আসনে তিনিও দলের মনোনয়ন চাইবেন। এ লক্ষ্যে দীর্ঘদিন মাঠে কাজ করছেন তিনি।
বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান মানিকও আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাইবেন। এছাড়াও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু। এর আগে একাধিকবার তিনি এ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
তবে নতুন মুখ হিসেবে এইবার আর্বিভাব ঘটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুলের। এ লক্ষ্যে এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। এলাকার বিভিন্ন দলীয় ও সামাজিক কর্মসূচিতে মাঝেমধ্যে অংশ নিচ্ছেন। তিনিও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছি দলের জন্য, জেল খেটেছি,এইবার নমিনেশন চাইবো, আশাকরি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন