{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা নাকচ করল উত্তর কোরিয়া

প্রকাশঃ
অ+ অ-


দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা একেবারেই নাকচ করে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং। সোমবার (২৮ জুলাই) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের যেকোনো সম্ভাবনাকে ‘অমূলক দিবাস্বপ্ন’ বলে মন্তব্য করেন।
দক্ষিণের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান

কিম ইয়ো জং স্পষ্ট ভাষায় বলেন,

 “সিউল যেই নীতিই গ্রহণ করুক বা যে প্রস্তাবই দিক না কেন, আমরা এতে আগ্রহী নই। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের দেখা করার কোনো কারণ বা আলোচনার কোনো বিষয়ই নেই।”


দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং সম্প্রতি পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন এবং উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্তে লাউডস্পিকার প্রচারণা বন্ধসহ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কিন্তু এসব উদ্যোগকে “যা শুরুই করা উচিত ছিল না, তার একটি প্রত্যাবর্তনমাত্র” বলে আখ্যা দেন কিম ইয়ো জং।
এপেক সম্মেলনের আমন্ত্রণকেও তাচ্ছিল্য

গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনকে অক্টোবরে সিউলে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর পক্ষে অবস্থান নেন। কিম ইয়ো জং এই প্রস্তাবকেও “দিবাস্বপ্ন” বলে অভিহিত করেন।

‘মারাত্মক ভুল হিসাব’

তিনি আরো বলেন,

“দক্ষিণ কোরিয়া যদি মনে করে যে আবেগপ্রবণ কিছু কথায় পূর্বের সিদ্ধান্ত পাল্টে যাবে, তবে তারা মারাত্মক ভুল করছে।”


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়েও সমালোচনা

কিম দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর নিরাপত্তা জোট ও উত্তর কোরিয়ার বিরোধিতামূলক নীতিকে ইয়ুন সুক-ইয়োলের রক্ষণশীল সরকারের ধারাবাহিকতা বলে দাবি করেন।


১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের পর দুই কোরিয়ার মধ্যে আজও আনুষ্ঠানিক শান্তিচুক্তি হয়নি। লি জে-মিয়ং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নতুন সম্পর্ক তৈরির বার্তা দিলেও উত্তর কোরিয়ার অবস্থান বলছে, সেই পথ এখনও কঠিন এবং জটিল।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন