ছাপানো টাকায় সরকারের ঋণ ২৭ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী অর্থবছরের একেবারে শেষ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। রাজস্ব ঘাটতি পূরণের জন্য এই অর্থ নেয়া হয় বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এটি নতুন ঋণ নয়; বরং পূর্বে নেওয়া ঋণের পরিশোধ কমিয়ে সমপরিমাণ অর্থ পুনরায় ব্যয় করা হয়েছে।
💸 কেন নেওয়া হলো এই ঋণ?
সরকার সাধারণত অর্থবছরের শেষে বিভিন্ন খাতে ব্যয় বৃদ্ধির মুখে পড়ে। সেই খরচ মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাপানো টাকা থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। এবারও তেমনটা হয়েছে।
অর্থবছরের শুরুতে কিছু ঋণ পরিশোধ করলেও, শেষ দিকে ঘাটতির কারণে পরিশোধের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই অর্থ অন্য খাতে স্থানান্তর করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা।
📈 মূল্যস্ফীতির প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছাপানো টাকায় ঋণ নেওয়া মূল্যস্ফীতির একটি বড় কারণ।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বছরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১.৬৬ শতাংশ, যা ছিল ওই সময়ের সর্বোচ্চ।
অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, অতিরিক্ত ছাপানো টাকা বাজারে ছাড়লে তা মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়ায় এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।
🧾 সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান:
ঋণের উৎস: বাংলাদেশ ব্যাংক (ছাপানো টাকা)
পরিমাণ: ২৭,০০০ কোটি টাকা
উদ্দেশ্য: হিসাব ঘাটতি পূরণ ও সমন্বয়
প্রভাব: মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক ঝুঁকি
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের মনেটারি ফাইন্যান্সিং বারবার ঘটলে তা মুদ্রানীতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ আর্থিক নীতি গ্রহণ জরুরি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন