দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানি ১৪, নিখোঁজ ১২
প্রকাশঃ
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা একেবারেই নাকচ করে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং। সোমবার (২৮ জুলাই) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের যেকোনো সম্ভাবনাকে ‘অমূলক দিবাস্বপ্ন’ বলে মন্তব্য করেন। 🔴 দক্ষিণের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান কিম ইয়ো জং স্পষ্ট ভাষায় বলেন, > “সিউল যেই নীতিই গ্রহণ করুক বা যে প্রস্তাবই দিক না কেন, আমরা এতে আগ্রহী নই। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের দেখা করার কোনো কারণ বা আলোচনার কোনো বিষয়ই নেই।” দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং সম্প্রতি পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন এবং উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্তে লাউডস্পিকার প্রচারণা বন্ধসহ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কিন্তু এসব উদ্যোগকে “যা শুরুই করা উচিত ছিল না, তার একটি প্রত্যাবর্তনমাত্র” বলে আখ্যা দেন কিম ইয়ো জং। 🔵 এপেক সম্মেলনের আমন্ত্রণকেও তাচ্ছিল্য গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনকে অক্টোবরে সিউলে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর পক্ষে অবস্থান নেন। কিম ইয়ো জং এই প্রস্তাবকেও “দিবাস্বপ্ন” বলে অভিহিত করেন। ⚠️ ‘মারাত্মক ভুল হিসাব’ তিনি আরো বলেন, > “দক্ষিণ কোরিয়া যদি মনে করে যে আবেগপ্রবণ কিছু কথায় পূর্বের সিদ্ধান্ত পাল্টে যাবে, তবে তারা মারাত্মক ভুল করছে।” 🇺🇸 যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়েও সমালোচনা কিম দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর নিরাপত্তা জোট ও উত্তর কোরিয়ার বিরোধিতামূলক নীতিকে ইয়ুন সুক-ইয়োলের রক্ষণশীল সরকারের ধারাবাহিকতা বলে দাবি করেন। 🔍 প্রেক্ষাপট ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের পর দুই কোরিয়ার মধ্যে আজও আনুষ্ঠানিক শান্তিচুক্তি হয়নি। লি জে-মিয়ং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নতুন সম্পর্ক তৈরির বার্তা দিলেও উত্তর কোরিয়ার অবস্থান বলছে, সেই পথ এখনও কঠিন এবং জটিল।
সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে। সানচেওং কাউন্টিতে ছয়জন নিহত ও সাতজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
রবিবার প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পর্যটন শহর গ্যাপিয়ং-এ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে কাদা মাড়িয়ে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে ছুটছেন।
প্রবল বৃষ্টির কারণে:
প্রায় ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
৪১ হাজারের বেশি পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে
হাজারো ভবন ও রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে
কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি ও গবাদি পশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে
বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমলেও রাজধানী সিউল ও উত্তরাঞ্চলে নতুন করে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সরকার উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন