{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

"আন্দোলনের মাঠের যোদ্ধাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় কর্মীরা"

রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে একজন পরীক্ষিত সংগ্রামী নেতা – আলহাজ্ব মামুন অর রশিদ
প্রকাশঃ
অ+ অ-

 


রাজনীতির ইতিহাস গর্ব করে যাঁদের নাম উচ্চারণ করে, ত্যাগ, সাহস ও সংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠেন যাঁরা—তাঁদের একজন হলেন আলহাজ্ব মামুন অর রশিদ, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য সচিব।

এই মানুষটি আজকের নয়, রাজনীতির মাঠে তাঁর পদচারণা চার দশকের বেশি সময় ধরে। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, যেখানে দেশের লাখো মানুষ রাজপথে নেমেছিল গণতন্ত্রের দাবিতে, সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। তখন থেকেই শুরু তাঁর রাজপথের লড়াই, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আর দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার নিরন্তর সংগ্রাম।

১/১১ সময়েও থেমে যাননি তিনি...

২০০৭ সালের ১/১১-এর দুঃসময়ে, যখন রাজনীতিবিদরা গুম, গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন, অনেকেই তখন আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু মামুন অর রশিদ মাথা নত করেননি।

র‍্যাবের ৬টি গুলির আঘাত সহ্য করেও তিনি রাজপথ ছাড়েননি।

তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত হলেও মনোবল ভাঙেনি।

কারণ তিনি বিশ্বাস করেন—এই দেশ, এই দল, এই গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব তাঁর রক্তের ঋণ।

রাজশাহীতে বিএনপির প্রতিটি আন্দোলনে তাঁর নেতৃত্ব

পতীত আওয়ামী শাসনামলে, যখন বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে, তখনও রাজশাহীর রাজপথে দাঁড়িয়ে থেকেছেন এই সাহসী নেতা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভয়, নিষেধাজ্ঞা, মামলা-হামলার পরোয়া না করে,

মামুন অর রশিদ রাজশাহীতে বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম বাস্তবায়ন করেছেন সফলভাবে।

তিনি শুধু একজন নেতা নন, তিনি আমাদের আশার প্রতীক, ত্যাগের প্রতিচ্ছবি, নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

১০ আগস্ট ২০২৫: মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন

আগামী ১০ আগস্ট ২০২৫, রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এই সম্মেলন শুধু একটি সাংগঠনিক অনুষ্ঠান নয়, এটি হচ্ছে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের এক ঐতিহাসিক সুযোগ।

আর সেই নেতৃত্বে আমরা—রাজশাহী মহানগরের ত্যাগী নেতাকর্মীরা—একটাই নাম দেখতে চাই:

আলহাজ্ব মামুন অর রশিদ মামুন।

বিএনপির আদর্শ, শহীদ জিয়ার দর্শন এবং তারেক রহমান সাহেবের নেতৃত্বে বিশ্বাসী আমরা সবাই বিশ্বাস করি—

সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই রাজশাহীতে বিএনপির রাজনীতিকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।

আর সেই নেতৃত্বে আলহাজ্ব মামুন অর রশিদ মামুন-এর মতো এক ত্যাগী, সাহসী এবং সংগঠক নেতার প্রয়োজন আজ সবচেয়ে বেশি।

নেতাকর্মীদের ভাষ্যে, দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য মামুন অর রশিদ হলেন একজন পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত নেতা, যিনি রাজশাহীর রাজনীতিতে দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে পারবেন।

একজন মহানগর কর্মী বলেন,

“১/১১-এর সময় যখন সবাই পিছু হটেছিল, মামুন ভাই তখনও রাজপথে ছিলেন। তাঁর শরীরে র‍্যাবের গুলির চিহ্ন এখনও সাক্ষ্য দেয়—তিনি কেমন সাহসী একজন সৈনিক।”

আরও একাধিক নেতাকর্মী মনে করেন, বর্তমান সরকারের দমন-পীড়নের সময়েও মামুন অর রশিদ রাজশাহীতে বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন।

তাঁর নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত হয়েছে, বিশেষ করে তরুণদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।

তাঁদের মতে,

“মামুন ভাইকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনলে রাজশাহীর রাজনীতি আরও শক্ত হবে, নেতাকর্মীরা অনুপ্রাণিত হবে, আর বিএনপির কার্যক্রম আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হবে।”

বহু বছর ধরেই মহানগর বিএনপিতে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছেন মামুন অর রশিদ। বর্তমানে তিনি সদস্য সচিব পদে আছেন। আসন্ন ১০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে তাঁকে আরও দায়িত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় দলের ভেতরের বড় একটি অংশ।

দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,

 “রাজনীতি এখন প্রতিকূল সময় পার করছে। এমন সময়ে মামুন ভাইয়ের মতো ত্যাগী ও সাহসী নেতৃত্বই দলের জন্য আশার আলো হতে পারে।”

রাজশাহী মহানগরের রাজনীতিতে মামুন অর রশিদের দৃশ্যমান ভূমিকা, সংগঠন পরিচালনায় দক্ষতা ও আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকাই তাঁকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন