{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

জুলাই ঘোষণাপত্রে কী রয়েছে? পড়ুন বিস্তারিত

২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে “জুলাই ঘোষণাপত্র” প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্
প্রকাশঃ
অ+ অ-

 


২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে “জুলাই ঘোষণাপত্র” প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত “৩৬ জুলাই উদযাপন” অনুষ্ঠানে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।

১. পাকিস্তানের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।


২. জনগণ স্বাধীনতার আদর্শ—সাম্য, মর্যাদা ও সুবিচারের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে।


৩. ১৯৭২ সালের সংবিধানের কাঠামো দুর্বল ছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকার তা যথাযথভাবে কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়।


৪. বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম হয়; এর প্রতিক্রিয়ায় ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে সিপাহি-জনতা বিপ্লব ঘটে।


৫. ৯০-এর গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সামরিক শাসনের অবসান হয় এবং ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র ফেরত আসে।


৬. ১/১১-এর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে শেখ হাসিনার কর্তৃত্বমূলক শাসনের পথ সুগম করা হয়।


৭. গত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম ও একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানো হয়।


৮. সরকারের দমন-পীড়ন, গুম-খুন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়।


৯. একনায়কতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্ষুণ্ন হয়।


১০. দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও পরিবেশ ধ্বংসের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপন্ন করা হয়।


১১. রাজনৈতিক নিপীড়ন, গুম-খুন, ও হামলার মাধ্যমে জনগণের ওপর দীর্ঘমেয়াদি দমননীতি চালানো হয়েছে।


১২. বিদেশি প্রভুত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জনগণের দাবি দমন করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।


১৩. ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলোতে ভোটাধিকার হরণ করে জনগণকে প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়।


১৪. ভিন্নমতের ওপর দমন, দলীয় নিয়োগ, ও কোটা বৈষম্যের মাধ্যমে ব্যাপক জনঅসন্তোষ তৈরি হয়েছে।


১৫. বিরোধীদের নিপীড়নের ফলে জনরোষ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রাম তীব্রতর হয়।


১৬. কোটা আন্দোলন দমন, বর্বরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।


১৭. ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হয় এবং দমন নীতির ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।


১৮. গণভবনমুখী জনতার চূড়ান্ত অভিযানে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হন।


১৯. এই গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে বৈধ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।


২০. সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে ৮ আগস্ট ২০২৪ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।


২১. এই অভ্যুত্থান ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জাতীয় আকাঙ্কার প্রকাশ।


২২. জনগণ বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কারের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।


২৩. বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধ ও রাষ্ট্রীয় লুণ্ঠনের বিচারের দাবিও স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।


২৪. অভ্যুত্থানের শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা ও আহতদের জন্য আইনি সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।


২৫. একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করে কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে।


২৬. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকার সংরক্ষণে পরিবেশবান্ধব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।


২৭. ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-কে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।


২৮. ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অর্জিত গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়কে প্রতিফলিত করে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই ২৮ দফা “জুলাই ঘোষণাপত্র”-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবিধানিক দিগন্ত উন্মোচনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন