পিআর নিয়ে কঠোর অবস্থান থেকেও সরে আসতে পারে জামায়াত।
প্রকাশঃ
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্ন—আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আদৌ হবে কি না। অবশেষে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনিক পর্যায়ের বিভিন্ন সূত্র থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এক ফেসবুক পোস্টে জানান, বিএনপি এবং জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে কথা বলার পর তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, দুই দলই ইতোমধ্যে নির্বাচনকালীন প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং চলমান আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে।
এছাড়া কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একজন নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, কমিশন আগের নিয়মেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ব্যবস্থার পক্ষে কঠোর অবস্থান থাকলেও, বিষয়টি নিয়েও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি, প্রশাসনের সক্রিয়তা এবং নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা সব মিলিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ধীরে ধীরে এক উৎসবমুখর নির্বাচনের পরিবেশের দিকে এগোচ্ছে। যদিও আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা এখনও হয়নি, তবে বিভিন্ন দিক থেকে নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতির ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন