তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রদল
প্রকাশঃ
আরেক হলের ফল প্রকাশ, শীর্ষ তিন পদে এগিয়ে ছাত্রদল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদেই এগিয়ে আছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সদস্যসচিবের উপস্থিতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী—
ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ২২৩ ভোট, আর ছাত্রশিবিরের ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ৯০ ভোট।
জিএস পদে ছাত্রদলের মো. শাফায়াত হোসেন ১৬৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন; বৈচিত্র্য ঐক্য প্যানেলের সুদর্শন চাকমা পেয়েছেন ১৩১ ভোট এবং শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮৩ ভোট।
এজিএস পদে ছাত্রদলের আয়ুবুর রহমান তৌফিক ২৬৬ ভোটে এগিয়ে আছেন; স্বতন্ত্র প্রার্থী পলাশ দে পেয়েছেন ৬২ ভোট এবং শিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
এর আগে মাস্টার দা সূর্য সেন হলের ফলও ঘোষণা করা হয়। সেখানে ভিপি ও এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও, জিএস পদে এগিয়ে রয়েছেন শিবির প্যানেলের প্রার্থী।
রাত ১১টার দিকে বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ডিন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. আল আমীন এই ফল ঘোষণা করেন।
ফলাফলে দেখা যায়—
ভিপি পদে ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ১৪১ ভোট, আর শিবিরের ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট।
জিএস পদে শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ১৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন, ছাত্রদলের শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন ৫৩ ভোট।
এজিএস পদে ছাত্রদলের আয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ১৭০ ভোট এবং শিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৬৫ ভোট।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে ১৩টি প্যানেল থেকে ২৩২ পদে ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ভোট দেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি এবং হল সংসদের ১৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়।
ভোট হয় ব্যালট পেপারে, আর গণনা সম্পন্ন হচ্ছে ওএমআর (Optical Mark Reader) পদ্ধতিতে।
কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ পদে ৪১৫ জন এবং ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের ১৪টি পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী অংশ নেন। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ৫১৮ জন।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে অনুষদের ডিনদের রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় সভাপতিদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয় শিক্ষার্থীদের ছবি, এবং শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সুবিধার্থে শাটল ট্রেন ও বাসের বিশেষ সময়সূচি চালু করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন