ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় ১০৫ জন আসামির সবাই বেকসুর খালাস
প্রকাশঃ
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর কানিজ ফাতিমা জানান, মামলায় উপস্থিত সাক্ষী বা প্রত্যক্ষদর্শীরা কারো নাম নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে পারেননি। এই কারণে আদালত সকল আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
ফারুক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হল দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের এক রাতে ফারুক হোসেন নামে ছাত্রলীগ কর্মীর মরদেহ সৈয়দ আমীর আলী হল ও শাহ মখদুম হলের মধ্যবর্তী ম্যানহোলে পাওয়া যায়।
পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি ৩৫ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করেন এবং আরও ২০–২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার জিল্লুর রহমান প্রায় আড়াই বছর পর ২০১২ সালের ২৮ জুলাই আদালতে ১,২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সম্পাদকসহ মোট ১১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। উল্লেখযোগ্য অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আতাউর রহমান, শামসুল আলম গোলাপ, মোবারক হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখার সভাপতি হাসমত আলী, রাইজুল ইসলাম, রুহুল আমিন ও বাপ্পী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন